করোনা :ব্রাজিলে এক দিনেই আক্রান্ত ৪০ হাজার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ◑ মহামারি করোনা ভাইরাসে ইউরোপ, আমেরিকার পর এবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এক দিনেই প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৯ হাজার ৪৩৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জানান। একই দিন দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৩৭৪ জন মারা গেছেন। মহামারি শুরুর পর ব্রাজিলে এক দিনে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে গত ৪ জুন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৭৩ জন মারা গিয়েছিল। দেশটিতে বুধবার সন্ধ্যা অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৯ জন। আর মারা গেছে ৫২ হাজার ৭৭১ জন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় লাতিন আমেরিকায় সবার ওপরে আর বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।

এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি বহুল প্রত্যাশিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনটি এবার ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। এই দুই দেশে করোনা সংক্রমণ এখন দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকায় সেখানে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত টিকা হিসেবে মনে করা হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভ্যাকসিনকে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তত ২ হাজার, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী এবং রিওডিজেনিরোতে ১ হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে বলে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

লেম্যান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবে। এক বিবৃতিতে লেম্যান ফাউন্ডেশন বলছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করবে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহায়তায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরিকৃত করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আনভিসা। ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর আগে ব্রিটেনেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে পারে বলে গবেষকরা